Table of Contents

গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

Table of Contents

গরুর মাংস অত্যন্ত মজাদার একটি খাবার।শুধু স্বাদেও নয় পুষ্টিগুণেও অতুলনীয়। আমিষের যোগান ভান্ডার সবচেয়ে বড় উৎস গরুর মাংস। তবে বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা  ক্ষতিকর দিক গুলোর কথা মাথায় রেখে গরুর মাংস খাওয়া থেকে অনিহা প্রকাশ করছে। তবে সঠিক পরিমাণ গ্রহণে সুষম পুষ্টি সম্পূর্নরুপে পাওয়া যায়।

প্রতিদিন গরুর মাংস খাওয়ার মাএা হল ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। প্রতি পরিমাণ ৩ আউন্স থেকে আপনি পাবেন দৈনিক জিংকের ৩৪ শতাংশ। ভিটামিন বি এর প্রাকৃতিক উৎস গরুর মাংস। ভিটামিন -১ ( থায়ামিন) ৪ শতাংশ,ভিটামিন বি -২(রিবোফ্লাভিন) আছে ১৫  শতাংশ, বি-৩(নায়াসিন) আছে ৩৬ শতাংশ, বি-৬ আছে ২৯ শতাংশ, ভিটামিন বি-৯ (ফোলেট) আছে ২শতাংশ, বি-১২ আছে ১১০ শতাংশ।

তাছাড়া শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ফ্যাট সল্যুুুবল ভিটামিন অর্থাৎ ভিটামিন- ডি  ১ শতাংশ ভিটামিন- ই ৩ শতাংশবএবং ভিটামিন-কে ১ শতাংশ আছে গরুর মাংসে। ক্যালরি রয়েছে ২৫০ গ্রাম যার মধ্যে কোলেস্ট্ররল ৩০শতাংশ, সোডিয়াম ৩শতাংশ, পটাশিয়াম ৯ শতাংশ,  কোলিন ১৭ শতাংশ।

আরো রয়েছে মিনারেলস্ মধ্যে ক্যালসিয়াম -২ শতাংশ, কপার -৪৩ শতাংশ, আয়রণ -২০ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম -৬ শতাংশ, ম্যাগানিজ -১ শতাংশ, ফসফরাস – ২৮ শতাংশ, সিলিয়াম-৩১ শতাংশ, সোডিয়াম- ৫ শতাংশ এবং জিংক – ৬৬ শতাংশ।

সুতরাং বলা যায় গরুর মাংস অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার।  তবে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ভাল নয় এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।  অবশ্যই রান্না এবং খাওয়ার সময় সুস্বাস্থ্যের কথা মনে রাখতে হবে। তবে দেহের সকল পুষ্টির যোগান দেয়া সম্ভব।     

গরুর মাংসের উপকারিতা  

গরুর মাংস প্রাণিজ আমিষের একটি ভালো উংস। রেড মিট নামেও বেশ পরিচিত গরুর মাংস। বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে গরুর মাংসের কদর বহুকাল ধরে। বর্তমান সময়ে গরুর মাংসের খাওয়ার প্রতি আমাদের এক প্রকার ভীতি কাজ করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গরুর মাংসের উপকারিতা গুলো  আমাদের অজানা। সঠিক পরিমাণ গ্রহণে মানবদেহের অনেক উপকারিতা মিলবে।

গরুর মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ রিবোফ্লাভিন, বি-১২ যা শরীরে শক্তি যোগায়। আরো আছে নায়াসিন,ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম এবং কপারের মতো মিনারেলস।যা হাড় ও দাঁত গঠনে  অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

আয়রণের খুব ভালো উৎস গরুর মাংস। গরুর মাংস খাওয়ার ফলে আয়রণ শরীরে ভালভাবে শোষিত হয়।ফলে রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমাদের শরীরে  গড়ে ১৮ মি.গ্রা জিংক প্রয়োজন হয়ে। অনেকেই আছেন জিংকের অভাবে ভুগেন বিশেষত কিশোর-কিশোরিরা। গরুর মাংসে থাকা প্রায় ২৫ শতাংশ জিংক এই স্বল্পতা দূর করে।গরুর মাংসে থাকা জিংক শরীরের কোষ রক্ষনাবেক্ষন করে। তাছাড়া সেলেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি গরুর মাংসে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।

গরুর মাংস প্রোটিনের জন্য একটি বিরাট উৎস। প্রথম শ্রেনীর উন্নতমানের প্রোটিন পাওয়া যায় গরুর মাংস থেকে। যা সুস্থ  মাংসপেশি গঠন, মজবুত এবং শক্তিশালী করে থাকে।যা বর্ধনশীল বাচ্চা এবং টিনেজদের খুবই দরকার। এছাড়াও রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যা আমাদের ত্বকে বিশেষ ভাবে  সুস্থ রাখে। গরুর মাংসে আছে Conjugated Linoleic Acid (CLA) যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা গবেষণায় প্রমানিত হয়েছ।             

অনেকেই আছেন যাদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত গরুর মাংস খেতে পারেন, যদি না আপনার শারীরিক কোন সমস্যা থাকে।

গরুর মাংসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শরীরের সুস্থতার কথা খেয়াল রাখতে হবে। পরিমিত পরিমাণ সর্বদা সুস্থতার প্রতিক।

 

গরুর মাংস Gorur Mangsho
Website |  + posts
Cart
  • No products in the cart.